
টাঙ্গাইল শহরের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জুয়েল আহমেদ। তার নিজ বাড়ি শহরের আদি টাঙ্গাইলে গড়ে তুলেছেন ফ্রেন্ডশিপ স্কুল।
শিশুরা যেন শিক্ষা থেকে ঝড়ে না পড়ে সে জন্যই তার এ প্রচেষ্টা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুয়েলের ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে বর্তমানে ৭০ জনেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশু পড়ালেখা করছে। শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায় , শুধু বিনে পয়সায় পাঠদান নয় বরং তাদের খাতা-কলমও জুয়েল সরবরাহ করে আসছে।
ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে যেসব শিশু পড়ালেখা করছে তারা কেউ পূর্বে ঝড়ে পড়া, কেউ দারিদ্রতার কারণে লেখাপড়া করতে হিমশিম খাচ্ছিল, আবার কেউ কেউ আশে-পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। বেশিরভাগ শিশুর বাবা মা-ই দিনমজুর বা দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে।
জুয়েলের স্কুলের সকল শিশুই খুব প্রাণচঞ্চল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে জুয়েলসহ আরও দুইজন শিক্ষক শিশুদের পাঠদান করান।
কলেজ ছাত্র জুয়েল ইংরেজী মাধ্যমের কয়েকজন ছাত্র পড়িয়ে যে সামান্য টাকা পান তা দিয়ে এ স্কুলটি তথা বাকি দুজন শিক্ষককে কিছু সম্মানী দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
জুয়েল বলেন, দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেড়েই চলছে। একজন অসহায় মা যখন তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে এসে বলে, স্যার আমার টাকা-পয়সা নাই ,বাচ্চাটা লেখা-পড়া করাইতে পাড়তেছিনা তাই আপনার স্কুলে নিয়ে আসছি । অভিভাবকদের এমন কথা শুনে শিশুদের স্কুলে না ভর্তি করিয়ে পারা যায় না।
কেউ একটা বেঞ্চ, কেউ একটা টেবিল কিংবা একটা ব্ল্যাকবোর্ড দিয়ে বিদ্যালয়টিতে সাহায্য করার জন্য আহবান জানান জুয়েল। তার মতে সমাজের বিত্তবানদের বিলাসিতার একটু অংশ এসব অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পিছনে ব্যয় করলেই তার উদ্যোগ সফল হবে।
(ঢাকাটাইমস/৮ অক্টোবর/ফিচার/প্রতিনিধি/এজেড/১৬.৩৪ঘ.)
![]() |
Source : |
No comments:
Post a Comment